Header Ads

Header ADS

পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনে শরীয়তপুর জেলা বিলীন হওয়ার শঙ্কা (ভিডিও সহ দেখুন)

শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার দুটি গ্রামে পদ্মার ভাঙ্গন ব্যাপক হারে বেড়েই চলেছে।পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় শরীয়তপুরে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।গত সাত দিনে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার দুটি গ্রামের ১৫০ টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ঝুকিতে রয়েছে নড়িয়া বাজার, মূলফৎগন্জ মাদ্রাসা, উপজেলা সরকারি হাসপাতাল, নড়িয়া সরকারি কলেজ, মূলফৎগন্জ বাজার, বহু স্তাপনা সহ আরও প্রায় দের হাজার পরিবার।
ভাঙ্গনের আশংকায় গ্রামবাসি অনেকেই বাড়িঘরের আসবাবপত্র সহ যা কিছু পারছেন অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

শরীয়তপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেন, গত কয়েকদিনে বৃষ্টিতে নদীতে তীব্র স্রোতের সৃস্টি হয়েছে ফলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

জাজিরা কুন্ডেরচর ইউনিয়নের কলমিরচর গ্রাম ও নড়িয়ার মোক্তারের চর ইউনিয়ন, নগিয়া, বাশতলা, চর জাজিরা, সাধুরবাজারের ২৫০ টি পরিবার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে গৃহহীন হয়েছে।
ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো বসতঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছে।কেউ কেউ বাড়িতে থাকা গাছগুলো কেটে নিচ্ছেন।তারা পাশের গ্রামগুলোর ফসলি জমিতে খোলা আকাশের নিচে কেউবা ছাপরা ঘর করে থাকছেন।

নদী ভাঙ্গন রোধে জরুলি ভিত্তিতে প্রথমে ৩কোটি পরে আবার ২কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় অপচনশীল জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালালো হচ্ছে। তবে স্হানীয়দের দাবী এতে ভাঙ্গন রোধ করা যাচছে না। অতি দ্রুত ড্রেজিং করে চড় কেটে নদীর গতিপথ পরীবর্তন করা না হলে কিছুতেই নদী ভাঙ্গন রোধ করা যাবে না। আর এভাবেই ভাঙ্গতে থাকলে অতি দ্রুত নড়িয়া, জাজিরা সহ শরীয়তপুর জেলার নাম ই মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।
তাই এলাকাবাসির একটাই দাবি অতি দ্রুত ড্রেজিং করে চর কেটে নদী ভাঙ্গন রোধ করা ও স্হায়ী ভাবে বেড়িবাধ নির্মান করা।

ভিডিও দেখুনঃ  https://youtu.be/WJWxvGPZ_sg

No comments

Powered by Blogger.