Header Ads

Header ADS

ত্রাণের দাবিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলো এলাকাবাসী


করোনাভাইরাসে বিস্তার ঠেকানোর লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ায় অসহায় হয়ে পরেছে অনেকেই। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ত্রাণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে নড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।।

আজ সোমবার (১৮ই মে) নড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ঋশিপারার ৩৯টি পরিবার এবং এলাকাবাসী ওয়ার্ড কমিশনার লতিফ বেপারীর বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এক মাসের অধিক সময় ধরে মানুষজন কর্মহীন হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না-খেয়ে দিনযাপন করছেন। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হলেও আমাদের এলাকার কর্মহীন অভাবী মানুষ এখনো ত্রাণসহায়তা পাননি। ওয়ার্ড কমিশনার লতিফ ব্যাপারী নিজেদের লোকদেরকে ত্রাণ ও অর্থ দিয়েছে।

ঋশিপারার নরসুন্দর যুবরাজ বলেন (৪৫) বলেন,
‘করোনা পরিস্থিতি শুরু হলে সরকারি নির্দেশে দোকান বন্ধ রাখি। এতে জমানো সব সম্বল শেষ হয়ে যায়, খাদ্য সংকটে পরি। আমার ২সন্তান প্রতিবন্ধি তাদের নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে আছি। সরকারি কোন ত্রান ও পাচ্ছি না এখনো পর্যন্ত।

সাবিতা রানি বলেন, আমরা টিভিতে দেখি অনেক ত্রান আসে, অন্যান্য জায়গায় বিতরন হয়। কিন্তু আমাদের এই ঋশিপাড়ায় আসে না।। লতিফ কমিশনার বেশ কয়েকবার ভোটার আইডি কার্ড নিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সরকারি সাহায্য দেই নি। সব সে খেয়ে ফেলসে।

নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম (বাবু রাড়ি) বলেন, আমার জনা মতে সবাই ত্রাণ পেয়েছে। যদি এমন কেউ থাকে যে ত্রান পায় নি, আমাদের বল্লে আমরা তাকে ত্রাণ দিবো।

এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তি রুপা রায় বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহে ত্রান দিচ্ছি। আজকেও ৪০৩৮পরিবার কে ত্রান দিয়েছি। এলাকার লোকসংখ্যার ভিত্তিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যেমে ত্রান দেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি ত্রান না পায় আমাকে বল্লে আমি তার ত্রানের ব্যাবস্তা করে দিবো।

No comments

Powered by Blogger.