Header Ads

Header ADS

ওই ছোট্ট শিশুর মতো বলতে চাই, আমিও আল্লাহকে সব বলে দিবো

খাবারের এই ছবি দিয়ে একজন করোনা-চিকিৎসক লিখেছেন, ‘ওই ছোট্ট শিশুর মতো বলতে চাই, আমিও আল্লাহকে সব বলে দিবো।’

একজন ডাক্তার, এই সময়ের যোদ্ধা, যার মানসিকতা থাকে প্রবল কঠোর। ওই ডাক্তারের মন থেকেই যখন হতাশা ঝরতে শুরু করে, তখন যুদ্ধের মাঠে আপনার পরাজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

সামান্য ভাত, ছোট্ট এক টুকরো মাছ আর একটুখানি ডাল- এই হলো করোনাযোদ্ধাদের খাবারের মেন্যু! হোটেলে অবস্থানরত করোনাযোদ্ধাদের এই খাবার দেওয়া হচ্ছে! জানি না কার হাতে এই ব্যবস্থাপনা।

করোনার উপসর্গ আছে, এমন কাউকে দেখলেই আমরা শত মাইল দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করি। চিকিৎসক নার্সেরা বুক চিতিয়ে ওই রোগীদের বাঁচাবার যুদ্ধে। তাদের কোনো ভয় নেই।

কিন্তু এই নির্ভীক করোনাযোদ্ধাদের সঙ্গে কেমন তামাশা চলছে? ফাইভ স্টার আর ফোর স্টার হোটেলে তাদের রাখা হয়েছে। কিন্তু হোটেলের নরম বিছানা আর লাল-নীল বাতি কি পেটের ক্ষুধা দূর করতে পারে?

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না যে, এই মুহূর্তে হোটেলে অবস্থানরত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের পেটভরে খাবার দেওয়ার মতো সামর্থ্য সরকারের নেই। সরকার নানা খাতে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে পেটভরে খাওয়ানোর নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফলে এই যোদ্ধাদের অবহেলা করার কথা না।

তাহলে গলদ কোথায় মাননীয় সরকার বাহাদুর? প্লিজ খুঁজে বের করুন।

আর, যদি কোনো গলদ না থাকে, সতিই সামর্থ্য না থাকে, তাহলে সেটিও শেয়ার করতে হবে। আমার বিশ্বাস, দেশের আপামর জনসাধারণ এই করোনাযোদ্ধাদের খাবারের বন্দোবস্ত করবে। যে দেশে মানুষের বিপদে একজন ভিক্ষুকেরও মন কাঁদে, তিলে তিলে জমানো পয়সাকড়ি মানুষের প্রয়োজনে তুলে দেয়, সে দেশে করোনাযোদ্ধাদের জন্য মানুষ তাদের সহায় সম্বল উজাড় করে দিবেই।

দুঃখিত রাষ্ট্র, ডাক্তারদের সঙ্গে এই তামাশা অন্তত মানতে পারছি না।

© Joinal Abedin
(ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত)

No comments

Powered by Blogger.