ফল দেয়ার লোভ দেখিয়ে ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষন, ধর্ষক কে আটক করেছে পুলিশ
গত ৭ই জুন বিকালে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কান্দাপারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া থানার কান্দাপারা গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী(৮)কে গাব দেয়ার কথা বলে তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির লম্পট যুবক মিন্টু মন্ডল(২৪) পিতা- গোপাল মন্ডল, তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মিন্টু মন্ডল জোরপূর্বক অবুঝ শিশুটিকে ধর্ষন করে। এরপর সে শিশুটিকে হুমকি দেয় এই ঘটনা কাউকে জানালে তার অনেক ক্ষতি হবে। অবুঝ শিশুটি বাড়ি গিয়ে ভয়ে কাউকে ঘটনার বিষয়ে না জানালেও কিছুক্ষণের মধ্যে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ হওয়ার পর তার মা শিশু মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার মায়ের নিকট ঘটনাটি খুলে বলতে বাধ্য হয়। হতভাগিনী শিশুর দরিদ্র মা বাবা মেয়েকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। স্থানীয় চিকিৎসক মেয়েকে পরীক্ষা করে জানায় যে মেয়ের শারীরিক অবস্থা জটিল। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মেয়ের বাবা-মা ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায়, লোকলজ্জার ভয়ে আত্মীয়-স্বজন এবং নড়িয়া থানা পুলিশকে না জানিয়ে গোপনে রাত অনুমান ০৯.৪৫ টার সময় শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটিকে প্রাথমিক পরীক্ষার পর মেয়েটির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে শরীয়তপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বিষয়টি পালং থানাকে অবহিত করে। পালং থানার অফিসাররা টেলিফোনে বিষয়টি নড়িয়া থানায় অবহিত করে।
এরপরেই নড়িয়া থানা পু্লিশ আসামি গ্রেপ্তারের অভিযানে নেমে গভীর রাতে ধর্ষক মিন্টু মণ্ডল কে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক মিন্টু মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আজ ৮ই জুন শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ধরনের বর্বরোচিত, জঘন্য ঘটনা যে সংগঠিত করুক সে যতই শক্তিশালী হোক তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে নড়িয়া থানা পুলিশ।
No comments