মায়ের অসুস্থতার কথা বলে নগদ অর্থ ও ১১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও
জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত করিম মাঝির বড় ছেলে প্রবাসী হারুন মাঝির (২৭) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পন্ডিতসার গ্রামের মৃত মোখলেস দেওয়ানের মেয়ে পুতুল আক্তারের (২৪) বিয়ে হয় ২০১৪ সালে।
বিয়ের পরে স্ত্রীকে রেখে মালোশিয়াতে যান হারুন মাঝি। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার দেশেও আসতে চাইলে স্ত্রী পুতুল তাকে আসতে বাধা দেয়।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১এপ্রিল সকালে তাদের আগেচোরে বাড়িতে থাকা নগদ ২লক্ষ ২০হাজার টাকা ও পরিবারের অন্যান্যদের মোট ১১ভরি স্বর্ণালংকারসহ তার মায়ের অসুস্ততার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় পুতুল আক্তার। এরপরে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী প্রবাসী হারুন মাঝির মা শাহিদা বেগম বলেন, আমার ছেলের সাথে পুতুলের বিয়ে হয় ৭বছর আগে, বিয়ের পরে তাদের সংসার খুবই ভালো ভাবে যাচ্ছিলো। সে তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতো, তার কোনো চাহিদা কখনও অপূর্ণ রাখেননি। কিন্তু হঠাৎ করে পুতুল নগদ টাকা, আমার ও পরিবারে বাকিসদস্যদের মোট ১১ভরি স্বর্ন নিয়ে উধাও হয়ে যায়। বেশ কয়েকদিন তার চলাফেরায়ও সন্দেহ হয়েছিলো আমার।
তিনি আরো বলেন, চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুতুলের পরিবার-পরিজনদেরকে তার উধাও হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পুতুলের বড় বোন মাজেদা বেগম বলেন, ওর (পুতুল) সাথে আমার একবার কথা হয়েছে, সে নাকি নতুন বিয়ে করেছে। এখন কোথায় আছে তা জানি না।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) প্রবিন কুমার চক্রবর্তী জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আশা করি খুব দ্রুত তার সন্ধান পাওয়া যাবে।
No comments